Pageviews

News
Loading...

THAI LOTTERY

মোবাইলের ব্যাটারীর চার্জ ধরে রাখার ১০ টি কৌশল

স্মার্টফোনগুলো যেন একেকটি পূর্ণাঙ্গ কম্পিউটার। এমনকি সাধারণ কম্পিউটারের চেয়েও বাড়তি কিছু পাওয়া যায় স্মার্টফোনে। কিন্তু সব ব্যবহারকারীরই প্রায় এক অভিযোগ, ব্যাটারির চার্জ বেশিক্ষণ থাকে না। আগের জমানার মোবাইল ফোনগুলোর তুলনায় স্মার্টফোনে কাজ করার সুযোগ অনেক বেশি বলে ব্যাটারিও বেশি ব্যবহূত হচ্ছে। তবে সাধারণ কিছু অভ্যাসের মাধ্যমে ব্যাটারির চার্জ বেশি সময় ধরে রাখা যায়।
পর্দার ঔজ্জ্বল্য কমিয়ে রাখা - স্মার্টফোনের পর্দার ব্রাইটনেস বা ঔজ্জ্বল্য কমিয়ে রাখা ভালো। ফোনের সেটিংস থেকে এটি পরিবর্তন করা যায়, আবার কোনো কোনো মোবাইলে ব্রাইটনেস পরিবর্তনের জন্য শর্টকাট কি-ও থাকে। কিছুদিন ব্যবহার করলেই কম আলোর পর্দার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া যায়। পাশাপাশি কিছুক্ষণ ব্যবহার না করা হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পর্দার আলো বন্ধ রাখার সুবিধাটিও চালু রাখা উচিত।
প্রয়োজন ছাড়া সব বেতার সংযোগ বন্ধ - জিপিআরএস/এজ, জিপিএস, ওয়াই-ফাই, ব্লুটুথের মতো বেতার সংযোগগুলো প্রয়োজনের সময় ছাড়া বন্ধ রাখা উচিত। কারণ, এই সংযোগগুলো চালু থাকলে সেগুলো নিকটবর্তী সংযোগ উৎসটি খুঁজে বের করার চেষ্টা করতে থাকে। আর এই সময়ে যে পরিমাণ ব্যাটারি খরচ হয়, তা সেবা ব্যবহারের সময়ের চেয়েও বেশি।
পুশ নোটিফিকেশন বন্ধ রাখা - ই-মেইল, ফেসবুক, গুগল প্লাস, টুইটারসহ আরও বিভিন্ন ধরনের অ্যাপলিকেশনে ‘পুশ নোটিফিকেশন’ নামের একটি সুবিধা থাকে। যেটি চালু থাকলে মোবাইল ফোনটি একটি নির্দিষ্ট সময় পর পর সার্ভার থেকে নতুন তথ্য সংগ্রহ করে। ফলে প্রয়োজন না থাকলেও নির্দিষ্ট সময় পর পর ফোনটি নিজের মতো করে কাজ করবে, আর চার্জ খরচ হবে।
ওয়াই-ফাই ভালো - স্মার্টফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার করার জন্য যখনই সম্ভব মোবাইল নেটওয়ার্কভিত্তি ইন্টারনেট যেমন জিপিআরএস/এজ, থ্রিজির তুলনায় তারহীন ওয়াই-ফাই ভালো। পরীক্ষা করে দেখা গেছে, ওয়াই-ফাই ব্যবহারের সময় অন্যান্য প্রযুক্তির ইন্টারনেট ব্যবহারের চেয়ে কম ব্যাটারি খরচ হয়। বাসা, অফিস বা অন্য কোথাও ইন্টারনেট ব্যবহারর সময় সেখানে যদি ওয়াই-ফাই থাকে, তবে সেখানে যুক্ত হতে পারেন।
ব্যবহার না করলে লক করে রাখা - ব্যবহার করা না হলে ফোনটি লক করে রাখা উচিত। লক থাকা অবস্থাতেও কল এবং এসএমএস আসবে। ফোন লক করা না থাকলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কিছু সেবা চলে এবং স্বাভাবিকবাবেই এতে ব্যাটারি খরচ হয়। আর লক করার আরও একটি সুবিধা হলো, ভুলবশত পর্দার কোথাও আঙুলের চাপ পড়ে কল চলে যাবে না বা কোনো অ্যাপ খুলবে না।
নির্দিষ্ট ধরনের অ্যাপলিকেশন - স্মার্টফোনে বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ ব্যবহার করা যায়। এগুলোর ব্যবহারের জন্য বিভিন্ন মাত্রার মেমোরি, প্রসেসিং পাওয়ার লাগে। যেমন ভিডিও দেখা বা উচ্চ মানের গ্রাফিকসের গেম খেলার জন্য যে পরিমাণে ব্যাটারি খরচ হয়, তার থেকে অনেক কম ব্যাটারি খরচ হয়, যদি নোট লেখা বা ই-বুক পড়ার অ্যাপ ব্যবহার করা হয়। আবার একাধিক অ্যাপ একই সঙ্গে ব্যবহার করা হলেও দ্রুত ব্যাটারির চার্জ শেষ হয়ে যেতে পারে। যেমন গান শোনা এবং একসঙ্গে ইন্টারনেট ব্যবহার করা।
ব্যবহারের পর অ্যাপটি বন্ধ করা - ব্যবহার শেষ হলে অ্যাপটি বন্ধ রাখা উচিত। অনেক ক্ষেত্রেই অ্যাপটি মিনিমাইজ করে রাখা হলেও নেপথ্যে প্রসেসিং চলতে থাকে। ইন্টারনেটে যুক্ত থেকে ডেটা আদান-প্রদানও করতে থাকে বেশ কিছু অ্যাপ। অথচ এই সময়ে অ্যাপটি ব্যবহূত হচ্ছে না।
ফোনটি কক্ষতাপমাত্রায় রাখা সর্বোত্তম - বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া ফোন সব সময়ই কক্ষতাপমাত্রায় ব্যবহার করা উচিত। মোবাইল ফোন কখনোই অতিরিক্ত ঠান্ডা বা গরম স্থানে ফেলে রাখা উচিত নয়। সুবিধাজনক তাপমাত্রায় না থাকলে মোবাইল ফোনের চার্জ দ্রুত শেষ হয়ে যায়, এমনকি ফোনটি স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। সাধারণত সব মোবাইল ফোনের জন্য সুবিধাজনক তাপমাত্রা হলো ০ থেকে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সফটওয়্যার হালনাগাদ - মোবাইল ফোন সফটওয়্যারটির (ফার্মওয়্যার নামেও পরিচিত) সাম্প্রতিকতম সংস্করণটি ব্যবহার করা ভালো। স্মার্টফোন নির্মাতার সব সময়ই ফোনের বিভিন্ন ত্রুটি সংশোধনের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। নতুন সংস্করণগুলোতে সেই বৈশিষ্টগুলো সংযোজন করা হয়ে থাকে। সাধরণত এই হালনাগাদগুলো বিনা মূল্যে নামানোর সুযোগ পাওয়া যায়। এমনকি ফোনে ব্যবহূত সব অ্যাপের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। সাম্প্রতিকতম সংস্করণগুলোতে অনেক নতুন বৈশিষ্ট্য যোগ করা হয়ে থাকে এবং আগের ত্রুটিগুলো সংশোধন করা হয়ে থাকে, যেগুলো অ্যাপটি সঠিকভাবে ব্যবহারে সহযোগিতা করে থাকে।
অতিরিক্ত ব্যাটারি - দ্রুত চার্জ শেষ হয়ে যায় বলে অনেকেই অতিরিক্ত ব্যাটারি সঙ্গে রাখেন। যেন প্রয়োজনের সময় একটির চার্জফুরিয়ে গেলে অপরটি ব্যবহার করা যায়।
বর্তমান সময়ের সব স্মার্টফোনেই লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই ধরনের ফোন দ্রুত চার্জ করার জন্য বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রাংশ পাওয়া যায়। আবার অনেকেই অতিরিক্ত চার্জার ব্যবহার করেন। কেউ কেউ আবার ব্যাটারির চার্জ শেষ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় কিছুক্ষণ পরপরই চার্জ করার চেষ্টা করেন। তবে জেনে রাখা ভালো, লিথিয়াম-আয়নভিত্তিক ব্যাটারিগুলোর ইলেকট্রন কিছুদিন পর পর পরিবর্তন হওয়া উত্তম। তাই মাসে অন্তত একবার ফোনের চার্জ সম্পূর্ণ শেষ হতে দিয়ে পুনরায় চার্জ করা উচিত। এতে ব্যাটারি দীর্ঘদিন ব্যবহার করা যায়।
Share on Google Plus

About joy bangla

This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.
    Blogger Comment
    Facebook Comment

0 comments :