জানা গেছে, এই প্রকল্পের আওতায় বিদ্যমান ‘টেলিটক থ্রিজি চালু ও সম্প্রসারণ এবং টুজি সম্প্রসারণ’ প্রকল্পের আওতা আরো বাড়ানো হবে। সারা বাংলাদেশের তৃণমূল পর্যন্ত পৌঁছে যাবে টেলিটকের টুজি এবং ৩.৫জি নেটওয়ার্ক। এরপরই কাজ বাস্তবায়ন শুরু হবে টেলিযোগাযোগ খাতের ইতিহাসে বিরল দৃষ্টান্তের এই প্রকল্পটির।
জানা গেছে, টেলিটকের থ্রিজি ৬৪ জেলা শহরসহ সারাদেশের সব প্রান্তে পৌঁছানোর কাজ শেষ হলে প্রতিটি টাওয়ারের সঙ্গে একটি করে শক্তিশালী ওয়াইফাই রাউটার স্থাপন করা হবে। একটি রাউটার অন্তত দেড় বর্গকিলোমিটার শক্তিশালী ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক কাভারেজ প্রদানে সক্ষম হবে।
এই ওয়াইফাই হবে সবার জন্য উন্মুক্ত এবং একদম ফ্রি। স্পিড প্রাথমিকভাবে পাওয়া যাবে অন্তত ২৫৬ কেবিপিএস যা পরবর্তীতে আরো বৃদ্ধির সুযোগ থাকবে।
বৃহস্পতিবার অনানুষ্ঠানিকভাবে রাশিয়া এবং চীনের পক্ষ থেকে উপস্থিত উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা ঋণের প্রাথমিক চুক্তি স্থাপন করেছে টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড। যা পরবর্তীতে আরো বৃদ্ধি পাবে।
পরবর্তীতে আনুষ্ঠানিকভাবে শুক্রবার সকাল ১০টায় আরো একটি সমঝোতা চুক্তি সাক্ষর হয়। চুক্তি সম্পাদন অনুষ্ঠানে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড, রাশিয়া এবং চীনের সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
আশা করা যাচ্ছে, এটি বাস্তবায়ন হলে দেশের ১৬ কোটি মানুষ ডিজিটাল বাংলাদেশের পূর্ণ সুফল পাবে। বাংলাদেশ হয়ে উঠবে আধুনিক, বিজ্ঞানমনষ্ক, মেধাভিত্তিক ও প্রযুক্তিনির্ভর এক উন্নত রাষ্ট্র।-JOY BANGLA TELECOM
0 comments :
Post a Comment