প্রস্তুত কারাকর্তৃপক্ষ এখন শুধু অপেক্ষা
একাত্তরে মানবতা বিরোধী অপরাধ মামলায় দন্ডিত জামায়াত নেতা কামারুজ্জামানের ফাঁসির রায় কার্যকর করতে সকল প্রস্তৃতি সম্পন্ন করেছে কারা কর্তৃপক্ষ। এখন শুধু অপেক্ষার পালা। ধোঁয়ামোচ্ছা করে রাখা হয়েছে চার কারাগারের চারটি মঞ্চ। তবে শেষ পর্যন্ত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারেই ফাঁসি কার্যকর হওয়ারই সম্ভাবনা বেশী। আর কাদের মোল্লার ফাঁিস কার্যকর করেছিল সেই শাহজাহানসহ থাকবে পাঁচ জল্লাদ। তাদের নিয়ে সোমবার ও মঙ্গলবার রাতে দু’ফায় ডামি ফাঁসির মহরা দেয়া হয়েছে। -এ তথ্য জানিয়েছেন কারা অধিদফতরের একজন শীর্ষ কর্মকতা। তবে ফাঁসির দিনক্ষন কখন এমন প্রশ্নের জবাবে ঐ কর্মকর্তা বলেন, যখন নির্দেশনা আসবে।
সর্বশেষ গত বছর ১২ ডিসেম্বর মানবতা বিরোধী অপরাধের দায় দন্ডিত জামায়াত নেতা কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর করা হয় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে। আর এটি ছিল সর্বশেষ ফাঁসি র ঘটনা।
গত বছর ৯ মে মৃত্যুদন্ড দিয়েছিল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। তার আপিলের রায়ে গত সোমবার ফাঁসির আদেশই বহাল রাখে সর্বোচ্চ আদালত। রায় বহালের পর তাকে ঐ দিন রাতেই তাকে স্থানান্তর করা হয় কাশিমপুর-২ কারাগার থেকে হাউসিকিউরিটি কারাগারে ( একই ক্যাম্পাসে)। এরপর গত মঙ্গলবার দুপুরে আনা হয় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে।
এ দিকে গতকাল বুধবার সকালে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত কামারুজ্জামানের সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন তার পরিবারের দশ সদস্য। তারা হলেন কামারুজ্জামানের স্ত্রী নুরুন্নাহার, ছেলে হাসান ইকবাল, ইকরাম হাসান, হাসান ঈমাম, মেয়ে আফিয়ান নূর, ভাই নাজিরুজ্জামান, আব্দুল্লাহ আল মাহাদী, বোন মোহসীনা বেগম ও ভাগ্নে আব্দুল আলিম। কারা কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে তারা কারাগারে প্রবেশ করেন। আধাঘন্টা সাক্ষাত শেষে বের হন বেলা ১১টা ৮ মিনিটে। এর আগে সর্বশেষ দেখা করেন গত ১৪ সেপ্টম্বর কাশিমপুর-২ কারাগারে।
কামারুজ্জামানের পাঁচ ছেলে এক মেয়ের মধ্যে চার ছেলে ও মেয়ে গতকাল তার সঙ্গে কারাগারে দেখা করেন। তৃতীয় ছেলে হাসান জামান মালয়েশিয়া রয়েছেন।
সাক্ষাত শেষে কামারুজ্জামানের বড় ছেলে হাসান ইকবাল ঢাকা কেন্দ্রীয়কারাগার গেটে অপেক্ষমান সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমার বাবার মৃত্যু হবে একটি আদর্শিক মৃত্যু।আমরা দেশবাসীর কাছে তার জন্য দেয়া চাই। তার বাবা ও সুস্থ ও স্বাভাবিক আছেন বলে তিনি দাবি করেছেন ।
রাষ্ট্রপতির কাছে প্রানভীক্ষা চাইবেন কীনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা পরের বিষয়। রিভিউর পরে বাবা ভাববেন। তবে এটা তার একান্তই ব্যক্তিগত সিন্ধান্তের বিষয়।
এটা কী আপনাদের শেষ সাক্ষাত- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কাশিমপুর কারাগার থেকে ঢাকা কারাগারে স্থানান্তর নিয়ে উদ্বোগ থাকলেও শেষ দেখা এমনটা মনে করছেন না।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার ফরমান আলী বলেন,নিয়মিত সাক্ষাতের অংশ হিসাবে কামারুজ্জামানের পরিবারের সদস্যদের দেখা করতে দেওয়া হয়েছে।more info- http://www.bisherbashi.com
0 comments :
Post a Comment