Pageviews

News
Loading...

THAI LOTTERY

আদালতে এফিডেভিট, একই পরিবারের ৪ জনের হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে মুসলিম গ্রহণ

ঝালকাঠি সদর উপজেলার বিন্নাপাড়া মন্ডলবাড়ি এলাকার একই পরিবারের ৪ জন মুসলিম ধর্মে আসক্ত হয়ে হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে এফিডেভিট এবং বাদ জোহর নেছারাবাদী হুজুরের কাছে কালিমা পড়ে নামাজ আদায় করেছেন। তারা মুসলিম ধর্ম গ্রহণের পূর্বে নিজেদের নামও ঠিক করে রেখেছিলেন। নাম পরিবর্তন করে অমলকৃষ্ণ মন্ডলের স্থলে ওমর ফারুক, স্ত্রী মিনতি মন্ডলের স্থলে মিনারা বেগম, পুত্র অসিমের স্থলে হাসান এবং অনিকের স্থলে হুসাইন রাখা হয়েছে। নওমুসলিম ওমর ফারুক বলেন, ২২ বছর পূর্বে (১৯৯২ সালে) পোস্ট অফিস রোডস্থ বারী মেটালে কাজ করতাম। মালিক আঃ বারেক ইসলামী ওয়াজ ও নসিহত শুনতেন। সেখানে প্রথমে অনিচ্ছায় শুনতে শুনতে এক পর্যায়ে শুনতে ভালো লাগতো। পাশ্ববর্তি কোথাও কোরআন তেলাওয়াত বাজলে তা মনোযোগ সহকারে শুনতাম এবং ওয়াজ-মাহফিল হলে সেখানে শুনতে যেতাম। এথেকেই ইসলাম ধর্ম ভালো লেগে যায়। কয়েক বছরের মাথায় বিবাহ করে স্ত্রীকেও বুঝাতে শুরু করি যে, “আমাদের এ ধর্মে কিছুই নেই, দেখ ইসলাম ধর্ম কত সুন্দর।” আমার স্ত্রীও আমার কথায় একমত হয়ে যায়। ইতি মধ্যে আমাদের দুটি পুত্র সন্তান জন্ম নেয়। ওদেরকে বুঝালে ওরাও আমার কথায় রাজি হয়। বাবা জীবীত থাকায় এতদিন আমরা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে পারি নাই। ২২ কার্তিক বাবা মারা যাওয়ার পর আমরা ইসলাম ধর্ম গ্রহণের চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেই। সে অনুযায়ী আইনজীবীদের মাধ্যমে কোর্টে গিয়ে এফিডেভিট করি। জোহর নামাজের পূর্বে নেছারাবাদ দরবার শরীফে গিয়ে হুজুরের কাছে দাড়াই। মাওঃ খলিলুর রহমান নেছারাবাদী হুজুর আমাদের ৩ বাপ-পুত্রকে (পিতা-পুত্র) গোসল করিয়ে পাঞ্জাবি-টুপি পড়িয়ে কালিমা ও নামাজ পড়ায়। আমার স্ত্রী মিনারা বেগমকে হুজুরের স্ত্রী গোসল করিয়ে নতুন শাড়ী পড়িয়ে কালিমা ও নামাজ পড়ায়। ওমর ফারুক আরো জানায়, আমরা স্বপরিবারে ইসলাম ধর্মের রীতি-নীতি অনুসারে বাকি জীবন কাটানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

Share on Google Plus

About joy bangla

This is a short description in the author block about the author. You edit it by entering text in the "Biographical Info" field in the user admin panel.
    Blogger Comment
    Facebook Comment

0 comments :